প্রকাশিত: Wed, Jul 12, 2023 10:22 AM
আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 4:20 AM

[১]আফগানিস্তানের বিপেক্ষ শেষ ওয়ানডেতে স্বস্তির জয় পেলো বাংলাদেশ

সাঈদুর রহমান: [২] বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিতে ২-০ তে এগিয়েছিলো আফগানিস্তান। মঙ্গলবার হোয়াইটওয়াশ রক্ষার ম্যাচে ৭ উইকেটের স্বস্তির জয় পেয়েছে টাইগাররা। 

[৩] এদিন চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আফগানিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৬ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। জবারে ব্যাটে নেমে ৭ উইকেট এবং ১৫৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন শরিফুল ইসলাম।

[৪] জবাবে ব্যাটে নেমে শুরুতেই নাঈমকে হারায় বাংলাদেশ। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। তবে এদিন ইনিংস বড় করতে পারেনি শান্ত। ১১ রানে আউট হন তিনি। এরপর সাকিব-লিটনের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে জয়ে দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ৩৯ রানে ক্যাচ আউট হয়ে সাঁজ ঘরে ফিরেন সাকিব।

[৫] সাকিবের আউটের পর তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ বলে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন লিটন। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ১৯ বলে ২২ রান এবং লিটনের ৬০ বলের অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে বাংলাদেশ। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে আফগানরা। 

[৬] এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরতেই দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরানকে ১ রানে ও রহমত শাহকে শুন্য রানে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক রহমানুল্লাহ গুরবাজ এদিন ৬ রান করে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন। ১ রান করে গুরবাজের দেখানো পথে হাটেন মোহাম্মদ নবী। দলীয় ১৫ রানে ব্যাটিং লাইনের ৪ প্রান ভোমরাকে হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তানরা। এরপর আবারো উইকেট মিছিল শুরু করেন আফগান ব্যাটাররা। নাজিবুল্লাহ জাদরান (১০), আব্দুল রহমান (৪) এবং জিয়া রহমান ৪ রানে আউট হলে দলকে ভরসা জাগায় আজমতুল্লাহ ওমারজাই। 

[৭] দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ৬৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। ১১ রানে মুজিবের আউটের পর ৫৬ রানে ওমারজাই আউট হলে ১২৬ রানে অলআউট হয় আফগানরা। এতে বাংলাদেশের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৭ রান।

[৮] বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেটে শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম। তাসিকন ও তাইজুল দুইটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও সাকিব ও মিরাজ একটি করে উইকেট শিকার করেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না